কুষ্টিয়ার খোকশায় পুলিশের সংস্পর্শে সংক্রমিত পাঁচ জন ,জেলায় মোট আক্রান্ত আঠারো ।
ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক , কুষ্টিয়া থেকে
কুষ্টিয়ার খোকসায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সেই পুলিশের এএসআই’র সংস্পর্শে আসা তার স্বাস্থ্যকর্মী বোনের পরিবারের ৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে। করোনায় আক্রান্ত হয়েও নিজ কর্মস্থলে না থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ম না মেনেই গ্রামে ফিরে এখন অন্যদেরও সংক্রমিত করলেন ওই পুলিশ অফিসার।ওই পরিবারের বাড়ি খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছে। ওই স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত পুলিশের এএসআই’র বোন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান সোহেল।
তিনি জানান, ডিএমপিতে কর্মরত ওই পুলিশের এএসআই ঢাকা থেকে ফেরার পথে শিমুলিয়ায় তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ধারণা করা হচ্ছে আক্রান্ত ওই পুলিশ অফিসারের সংস্পর্শেই তারা সংক্রমিত হয়েছেন।আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুই নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলেও ডা. কামরুজ্জামান সোহেল জানান।এর আগে বুধবার (২২ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার খোকসায় ঢাকা ফেরত ওই পুলিশ অফিসার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হয়েও সংক্রমণ আইন না মেনেই ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে খোকসায় চলে আসেন তিনি। কাজী আতাউল (৩৫) নামে ওই পুলিশ অফিসার উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের রতন কাজীর ছেলে। তিনি ডিএমপির নিজ ইউনিট থেকে অনুমতি ছাড়াই পালিয়ে কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন বলেও জানা গেছে।ঢাকা ফেরত করোনা আক্রান্ত পুলিশ অফিসারটির অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খোকসা থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঠানো হয় দু’দিন আগে। এরপর পরীক্ষার রিপোর্টে সোমবার রাতেই জানা গেলো তার স্বাস্থ্যকর্মী বোনসহ পরিবারটির ৫ সদস্যও তার থেকে সংক্রমিত হয়ে মাশুল দিচ্ছে।কুষ্টিয়ার খোকশায় পুলিশের সংস্পর্শে সংক্রমিত পাচ জন জেলায় মোট আক্রান্ত আঠারো ।